ঢাকা , শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ২০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ চান সাধারণ শিক্ষার্থীরা তারেক রহমান-বাবর খালাস আস্থার সংকটে প্রশাসন ও অর্থনীতি অন্তর্বর্তী সরকারের দায়হীন কর্মকাণ্ডে বিপন্ন মানবাধিকার ক্ষমতা বদলের জন্য জুলাই বিপ্লব হয়নি- জামায়াত গাইবান্ধায় কষ্টিপাথরের মূর্তি উদ্ধার, আটক ৩ ধূমপান নিয়ে তর্ক, পরিবহন কাউন্টারে হামলা-ভাঙচুর দুদকের মামলায় খালাস মীর নাসির ও মীর হেলাল রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আসিয়ানকে এগিয়ে আসার আহ্বান স্বর্ণ ব্যবসায়ীরাই টার্গেট ডাকাতদের গ্রেফতার ৭ আদাবরে পুলিশের ওপর হামলা কারাগারে ১১ আসামি নির্বাচন না হলে অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি তৈরি হবে- সাইফুল হক প্রধান শিক্ষকের ২১৬৯ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিল দাবি ডিবি পরিচয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রেফতার ৭ সিদ্ধান্তহীনতায় আটকে আছে পরিবহন চালকদের বিশ্রামাগার তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার কোনো বিকল্প নেই ভেজাল ওষুধ সেবনে বাড়ছে মৃত্যুর হার পোরশায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সদস্য ও কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত পোরশায় বিএনপি'র উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত রাজধানীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

সিদ্ধান্তহীনতায় আটকে আছে পরিবহন চালকদের বিশ্রামাগার

  • আপলোড সময় : ০৪-০৯-২০২৫ ১১:৫৭:৫১ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৪-০৯-২০২৫ ১১:৫৭:৫১ অপরাহ্ন
সিদ্ধান্তহীনতায় আটকে আছে পরিবহন চালকদের বিশ্রামাগার
সিদ্ধান্তের অভাবে চালু হচ্ছে না পরিবহন চালকদের বিশ্রামাগার। ফলে অলস পড়ে রয়েছে ২২৬ কোটি টাকা নির্মিত চারটি বিশ্রামাগার। দেশের চার মহাসড়কের পাশে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) ওসব বিশ্রামাগার নির্মাণ করেছে। চারটি বিশ্রামাগারের দুটির কাজ দুই বছর আগেই শেষ হয়েছে। বাকি দুটিও পুরোপুরি প্রস্তুত। কিন্তু সিদ্ধান্তের অভাবে সেগুলো চালু না করে অলস ফেলে রাখা হয়েছে। ফলে পরিবহন চালকরা বিশ্রামাগারের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অথচ এই প্রকল্পের লক্ষ্য ছিলো সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ এবং টেকসই ও নিরাপদ মহাসড়ক গড়ে তোলা। কিন্তু তা পূরণ হচ্ছে না। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, পরিবহন চালকদের বিশ্রামের জন্যই সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর দেশের চার মহাসড়কের পাশে বিশ্রামাগার নির্মাণ করেছে। তাতে ২২৬ কোটি ২২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। স্বল্প খরচে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে পরিবহন চালকদের বিশ্রামের সুযোগ দেয়াই এ প্রকল্পের লক্ষ্য। কারণ পরিবহন চালকদের ক্লান্তিহীন চলাচলই দেশে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। সূত্র জানায়, চালকদের জন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার নিমসারে বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হয়েছে। আর সিরাজগঞ্জের পাঁচলিয়ায় ঢাকা-যমুনা সেতু মহাসড়কের বিশ্রামাগার, মাগুরার লক্ষèীকান্দর ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বিশ্রামাগার এবং হবিগঞ্জের জগদীশপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিশ্রামাগারটি নির্মাণ করা হয়েছে। দূরপাল্লার চালকদের বিশ্রাম নেয়ার জন্য ওসব বিশ্রামাগারে রয়েছে শয়নকক্ষ, পণ্যবাহী গাড়ি পার্কিং, বিনোদন পয়েন্ট, ক্যান্টিন, আধুনিক স্যানিটেশন, গোসলখানা, নামাজের স্থান, প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা কক্ষ, গাড়ি মেরামতের জন্য ওয়ার্কশপ, ওয়াশজোন, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও লেক। এমনকি চালকদের জন্য সীমিত পরিসরে খেলাধুলার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। তবে ওই বিশ্রামাগারগুলো কীভাবে পরিচালনা করা হবে এখনো নেয়া হয়নি ওই সিদ্ধান্ত। আর সে কারণেই সেগুলো চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই বিশ্রামাগার চারটি চালুর ব্যাপারে অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে।
সূত্র আরো জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার নিমসারের বিশ্রামাগারটির নির্মাণ কাজ বিগত ২০২৩ সালের শুরুর দিকেই শেষ হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে কাজটি শেষ হয়েছে চলতি বছরের জুনে। তবে  তা কবে চালু হবে তা সংশ্লিষ্টরা জানে না। তবে সওজ’র পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে- এখন দরপত্র প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দরপত্র আহ্বান করে উপযুক্ত ইজারাদারদের মাধ্যমে বিশ্রামাগারটি পরিচালনা করা শুরু করা হবে। একইভাবে ২০২৩ সালের শুরুর দিকে প্রস্তুত হওয়া সিরাজগঞ্জের বিশ্রামাগারটিও অলস পড়ে আছে। সাড়ে ১৩ একরের বেশি জায়গায় নির্মিত বিশ্রামারটিতে ১০০ চালকের জন্য আবাসিক সুবিধা রাখা হয়েছে। তাছাড়া রয়েছে ১০০টি পণ্যবাহী গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। বিশ্রামারগারটি বর্তমানে পরিচালনার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত অবস্থায় রয়েছে। এখন আমরা ইজারা আহ্বানের পর তা চালু হবে। তবে কবে নাগাদ হবে তা সঠিকভাবে বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা। এখন বিশ্রামাগারগুলো কীভাবে পরিচালিত হবে তার একটি ফরম্যাট তৈরি করা হবে। আর ওই ফরম্যাটের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অপেক্ষা করছে। যদিও সওজ বিশ্রামাগারগুলো রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার জন্য একটি নির্দেশিকা তৈরি করেছে। নির্দেশিকা অনুযায়ী বিশ্রামগারের একটি শয্যা ব্যবহারের জন্য প্রথম ৫ ঘণ্টায় ১৫০ টাকা ভাড়া হিসেবে আদায় করা হবে। তারপর প্রতি ঘণ্টার জন্য ২৫ টাকা হারে ভাড়া আদায় করা হবে। তাছাড়া বিশ্রামাগারগুলোয় যানবাহন পার্কিংয়ের জন্যও আলাদাভাবে ফি পরিশোধ করতে হবে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, এক্সট্রা হেভি মোটরযান পার্কিংয়ের জন্য প্রথম ৫ ঘণ্টায় ১৫০ টাকা ও পরবর্তী প্রতি ঘণ্টার জন্য ৩০ টাকা। হেভি পণ্যবাহী মোটরযানের জন্য প্রথম ৫ ঘণ্টায় ১০০ টাকা ও পরবর্তী প্রতি ঘণ্টার জন্য ২০ টাকা। মিডিয়াম পণ্যবাহী মোটরযানের জন্য প্রথম ৫ ঘণ্টায় ৭৫ টাকা ও পরবর্তী প্রতি ঘণ্টার জন্য ১৫ টাকা এবং লাইট পণ্যবাহী মোটরযানের জন্য প্রথম ৫ ঘণ্টায় ৫০ টাকা ও পরবর্তী প্রতি ঘণ্টার জন্য ১০ টাকা হারে ফি আদায় করা হবে। টয়লেট ও গোসলখানা ব্যবহারের জন্যও আলাদা ফি দিতে হবে।
এদিকে এ প্রসঙ্গে সওজ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান জানান, বিশ্রামাগারগুলো চালুর জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এগুলো লিজ দেয়া হবে নাকি ওঅ্যান্ডএম পদ্ধতিতে পরিচালনা করা হবে তা নিয়ে কিছুটা মতপার্থক্য রয়েছে। আর গঠিত কমিটির সদস্য সংখ্যা বেশি হওয়ায় সবাইকে একত্রিত করে কাজটি করতে কিছু বিলম্ব হচ্ছে। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিশ্রামাগারগুলো চালু করার চেষ্টা চলছে।
 
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স